সব
২০ আগষ্ট সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও গত ২/৩ ধরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হলে শহরের বিভিন্ন স্থানে সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গিয়ে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধ করে দিচ্ছে দোকান-পাট।নগরীর প্রধান বানিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ শিশু হাসপাতাল এরিয়া,সরকারি কর্মাস কলেজ এলাকা,দেওয়ান হাট মুনসুরাবাদ,আসমা খাতুন চসিক কলেজ এলাকা,পাঠানটুলী,ডবল মুরিং, মাদার বাড়ি বাংলা বাজার এলাকা, বন্দরের সল্টগোলা ক্রসিং,ঈশান মিস্ত্রী হাট কোরবান আলী শাহ পাড়া,০২ নং সাইট এরিয়া,ইপিজেডের দক্ষিণ হালিশহর নিউ মুরিং,বন্দরটিলাস্থ নয়াহাট,সিমেন্ট ক্রসিং,আকমল আলী রোডস্থ বেড়ীবাঁধ এলাকা,
নারিকেল তলাস্থ হিন্দু পাড়া,হাজী নূর গনি পাড়া,আলী শাহ পাড়া,মাদ্রাজী শাহ পাড়া,পতেঙ্গার খেজুর তলা, চরপাড়া,নাজির পাড়া,পশ্চিম হোসেন আহমদ পাড়া, হাদি পাড়া,দক্ষিণ পতেঙ্গার লালদিয়ার চর এলাকা,বিজয় নগর,চৌধুরী পাড়া,দাইয়া পাড়া,মধ্যম পাড়া,মাইজ পাড়া,কাঠগড় মুসলিমাবাদ জেলে পাড়া এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিচু এলাকা ডুবে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
গত রোববার গভীর রাত থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কখনো প্রবল জোরে আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক বাসা বাড়িতে ও দোকান পাট,বাজার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি জমে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান।এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষের চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত ১০/১২ দিন যাবত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট সমস্যার কারণে চসিকের পরিচ্ছন্ন টিম ও সেবকরা নালা-ড্রেন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে অগ্রগতি নেই বলে এই জটিলতা দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোঃনাছির সওদাগর ও সেলিম মোহাম্মদ।চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,আগামী ২/১ দিন বৃষ্টি হতে পারে,সেই সাথে সাগরের লঘুচাপ থাকায় দমকা হাওয়া সহ জোয়ারের পানি কিছু টা বাড়তে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরো জানায়,গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।এসময় আকাশ অতি মেঘাচ্ছন্ন সহ বজ্র বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বৈয়ে যেতে পারে।লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম জেলার সমুদ্র বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকা কে ০৩ নম্বর সর্তকীকরণ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য