সব
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে।র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭,চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত,ধর্ষক,দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী, খুনি,ছিনতাইকারী,অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র,গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭,চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে,কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন ০৫ নং ওয়ার্ডস্থ টিটু ফার্নিচারের পিছনে আমিন শরীফের কাঁচা ঘরের পাশে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য মজুদ করছে।উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৪ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ০১০০ ঘটিকায় র্যাব-৭,চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি মোঃজুয়েল(৩৪), পিতা-মোঃহানিফ,সাং-অক্সিজেন শহীদ পাড়া,থানা-বায়েজিদ বোস্তামী,জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তার নিজ হেফাজতে থাকা ঝোপ-ঝাড়ের ভিতর থেকে নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে কালো রংয়ের পলিথিন দ্বারা মোড়ানো তেইশটি বান্ডেলে মোট ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে,সে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল।উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৭ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি ও জব্দকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য