সব
৪ জানুয়ারি এক সময়ের মাদকের আখড়ায় এখন শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল।যে ফুল দেখেই মুগ্ধ হচ্ছেন শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সী নারী-পুরুষ।
ডালিয়া,চন্দ্রমল্লিকা,ম্যাগনোলিয়া, শিউলি,হাসনাহেনা,অপরাজিতা,চেরি, জাকারান্ডা,উইলো,টিউলিপ, উইস্টেরিয়াসহ দেশি-বিদেশি ১৩০ রকম ফুলে সেজেছে ডিসি পার্ক।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড.শেখ আব্দুর রশীদ শনিবার(৪ জানুয়ারি)মাসব্যাপী এই ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড.মোহাম্মদ মোখলেস উর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড.মো. জিয়াউদ্দীন।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত‘বন্দর-ফৌজদারহাট টোল রোড’।
ঝাউগাছ আর জলাশয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কটি যুক্ত হয়েছে মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে।ফৌজদারহাট থেকে এ টোল রোড ধরে কিছুদূর গেলেই ডিসি পার্ক।সড়কের পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে বাহারি রঙের ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই পার্ক।মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতাদের দখলে ছিল সরকারের ১৯৪ একর জায়গা।২০২৩ সালের মাদকের সেই আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন।গড়ে তোলা হয় নান্দনিক ডিসি পার্ক।
গত বছরও এই ডিসি পার্কে ফুল উৎসবের আয়োজন করে প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালেও মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে বানানো ডিসি পার্কে ফুল উৎসব করছেন জেলা প্রশাসন।এবারের উৎসবে ১৩০ প্রজাতির ফুলের সমারোহ করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।তিনি আরো জানায়,৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে চট্টগ্রাম ফুল উৎসব।
এ উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব,বই উৎসব,ভিআর গেইম,ভায়োলিন শো, পুতুল নাচ,১৩০ প্রজাতির ফুলের সমারোহ,২৪ থেকে ২৫ জানুয়ারি মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যাল,৩১ জানুয়ারি ঘুড়ি উৎসব,ফুলের সাজে একদিন,১৭ থেকে ২৩ জানুয়ারি পিঠা উৎসব,১০ থেকে ১১ জানুয়ারি লেজার লাইট শো ও ১ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি মুভি শো।মাসব্যাপী এ ফুল উৎসবের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে।
বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।জেলা প্রশাসন জানায়,টিউলিপ, গোলাপসহ প্রায় সব রকমের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে ডিসি পার্ক। লাল,হলুদের পাশাপাশি সাদা ও গোলাপি ফুলের সমারোহও উপভোগ করা যাবে ডিসি পার্কের মাসব্যাপী ফুল উৎসবে।
১৯৪ একর এলাকাজুড়ে গড়ে উঠা ডিসি পার্কে তিনটি বিশাল আয়তনের পুকুর রয়েছে।আরও রয়েছে ফুডকোর্ট, পর্যটকদের বসার স্থান,সেলফি কর্নার, অনুষ্ঠানস্থল,ভাসমান ফুল বাগান,হাটা চলার উন্মুক্ত স্থান,অস্থায়ী খেলার মাঠ, স্থায়ী ফুলের বাগান,শিশুদের খেলার মাঠ,ভিআইপি জোন,কন্ট্রোল রুম, রেস্টুরেন্ট,ফুড কর্নার,সানসেড ভিউ পয়েন্ট,টিউলিপ গার্ডেন,জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থান কর্নার ও পাবলিক টয়লেট।
জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন,৪ জানুয়ারি থেকে ফুল উৎসব হবে।
প্রকৃতির বর্ণ,গন্ধ ও ছন্দের অনুপ্রেরণায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ৩য় বারের মতো এ ফুল উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ আধার ডিসি পার্কে ১৩০ প্রজাতির ফুলের সমারোহ ও বিভিন্ন আর্কষণীয় অনুষ্ঠান নিয়ে থাকছে আমাদের মাসব্যাপী এ আয়োজন।
মন্তব্য