সব
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ১৩ নং ইউনিয়নের মন্দুক গ্রাম।একই ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী থেকে হেরপেটি ও পেরপেটি ও একবাড়িয়া(কোড্ডাপাড় রোড)পর্যন্ত এই গ্রামসহ আশেপাশের প্রায় চারটি গ্রামে যাতায়াত করার একমাত্র উপযোগী রাস্তা এই গ্রামের ভিতর দিয়ে গিয়েছে।কিন্তু, ভাঙ্গা কালভার্ট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। কালভার্টটির মাঝামাঝি ভেঙ্গে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ চলাচল করছে।তাই, এলাকাবাসীর দাবী এই কালভার্টটি পুনঃসংস্কার বা দ্রুত ছোট একটি ব্রীজ নির্মাণের।ব্রীজটি নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর চলাচলে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়,গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য ২০/২৫ বছর আগে একটি কালভার্ট তৈরী করে দেওয়া হয়। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু, নিম্নমানের কাজ করার কারণে প্রায় আড়াই বছর আগে কালভার্টটির মাঝামাঝি অংশে ভেঙ্গে যায়।যার ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।স্থানীয়রা জানায়,একাধিকবার রাস্তা এবং কালভার্ট মেরামতের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃরাকিবুল হাসান লিমনেকে অবহিত করলেও তিনি কোনো কর্নপাত করেন নি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীরা জোর দাবি জানালে,ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান লিমন সরেজমিনে এসে পরিদর্শন করে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন যে রাস্তা এবং কালভার্ট করে দিবেন। কিন্তু,পরিদর্শনের পর প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেলেও এই কালভার্ট এবং রাস্তা মেরামত হয় নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী আশরাফ পাটোয়ারী বলেন,এই কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এখান দিয়ে আমরা গ্রামের মানুষ চলাচলে কষ্ট হয়।এই গ্রামের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই কালভার্টটি মেরামত করা আমাদের জন্য ফরয হয়ে গিয়েছে।সরকারের কাছে দাবি জানাই যাতে দ্রুত কালভার্টটি ঠিক করে দেওয়া হয়।
মোঃমনির হোসেন নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,এই কালভার্টটি প্রায় ৩ বছর আগে ভেঙ্গেছিলো।অল্প একটু ভাঙ্গা থেকে আজ এই অবস্থা। শুরুতেই যদি ইউপি চেয়ারম্যান বা থানা বা জেলা পর্যায় থেকে এখানে এই ছিদ্রটা ঠিক করে দিতো তাহলে আজ এই অবস্থা হতো না।এখন একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের ছেলে মেয়েরা কিভাবে স্কুলে যাবে চিন্তায় থাকি।তাই আমাদের এই কালভার্টটি মেরামত করে দেওয়ার বা ছোট একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার জোর দাবি জানাই।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব আলম মিলন বলেন,এখানে কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আমাদের ছোট বড় সকলের সমস্যায় পড়তে হয়।দীর্ঘদিন থেকে ভাঙ্গা রয়েছে।কেউ এটা নিয়ে ভাবেন না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাকিবুল হাসান লিমন বলেন,আমি এই বিষয়ে উর্ধ্বতন পর্যায়ে জানিয়েছি। খুব শীঘ্রই আমি এই কালভার্টটি সংস্কার কাজ করা হবে।
মন্তব্য