১৫ ডিসেম্বর পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সিরাজ গাজী বাড়ির মুহাম্মদ মুছার স্ত্রী ব্যাডমিন্টনের ব্যাট নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবশী কিশোরের ছুরিকাঘাতে শিউলী বেগম(৪২)নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার(১৪ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর দুই ছেলেকেও মেরে রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষরা।গৃহবধূ শিউলীকে ছুরিকাঘাত করা কিশোর আলফাজুর রহমান ইয়াছিন প্রকাশ আলভি(১৮)একই এলাকার বাঁচা মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে,নিহত শিউলি আকতারের ১ মেয়ে ও ৩ ছেলে সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে এক ছেলে সামিম(১২)এর সাথে ব্যাডমিন্টনের ব্যাট নিয়ে প্রতিবেশী বাঁচা মিয়ার ছেলে তাহসিন (১৪)এর ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে তাহসিন সামিমকে পাথর ছুঁড়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।এ নিয়ে সামিমের মা শিউলি তাহসিনের মাকে ডেকে বিচার দেয় এবং ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করতে বলেন। কিন্তু তাহসিনের মা তাতে রাজি হননি।
একপর্যায়ে রক্তাক্ত সামিমকে নিয়ে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।হাসপাতাল থেকে ফিরে শিউলি দেখতে পান তাহসিনের বড়ভাই ঘাতক আলফাজুর রহমান ইয়াছিন প্রকাশ আলভিসহ তার পরিবারের লোকজন মিলে তাদের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করে।
তবে পূর্ব থেকে সামিমের পরিবারের সাথে রান্না ঘরের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল বলে জানা গেছে।হামলার সময় রান্না ঘরের চুলার চুঙ্গি ভেঙে দেয় তারা। একপর্যায়ের তাহসিনের বড়ভাই আলভি সামিমের মা শিউলি আকতারকে পেটে ছুরিকাঘাত করে।
ছুরিকাঘাতের পর শিউলি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাহসিনের পরিবারের লোকজনরাও রক্তাক্ত শিউলিকে লাথি মারতে থাকে।গুরুতর আহত অবস্থায় শিউলিকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয়রা জানান,ঘাতক যুবক আলভি বকাটে প্রকৃতির।পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যায়।
অভিযুক্ত আলভি পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি আবু জায়েদ নূর।