১ নং কলা বাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ বিজন কুমার বিশ্বাস কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে মনোনীত হয়ে জনগণের ভোটবিহীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিগত দিনে কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে যত চেয়ারম্যান আসছে তাদের বিরুদ্ধে এমন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।গত ৫ই আগস্ট এর আগে পর্যন্ত চেয়ারম্যান কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে একটি রাম রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।যে কারণে কোন জনগণ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস পায়নি।আজ ক্ষমতার পালাবদল হয়ে যাওয়ার কারণে এবং নিজের দুর্নীতির দায়ে স্ত্রী ছেলে বিদেশে পাঠিয়ে নিজে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে বলে জানান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিষয়টিকে কেন্দ্র কলাবাড়ী ইউনিয়নে জনগন ও মেম্বারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।গত সোমবার কলা বাড়ী ইউনিয়নের প্রায় দ্শজন মেম্বার এ বিষয়ে একটি মানব বন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে মেম্বার কমলেশ ঢালী,পরিতোস হালদার,পরিতোস মধু,লাবলী বাড়ৈ,নিউটন সরকার,অধির বাড়ৈ,বিমল সরকার সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মেম্বারগন বলেন,দুর্নীতি করে চেয়ারম্যান তার স্ত্রী ও ছেলেকে ইন্ডিয়ায় বাড়ি করে তাদের সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছে।আর তিনি চেয়ারম্যানবিজন বিশ্বাস,প্যানেল চেয়ারম্যান মনোজ বৈদ্য ও ১ জন মহিলা মেম্বারকে সাথে নিয়ে সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ মতাঅবস্থায় আমাদেরকে যারা ভোট দিয়ে মেম্বার বানিয়েছে,সেই সমস্ত জনগণের চেয়ারম্যান না থাকার কারণে আমরা কোন সেবা দিতে পারছি না।জনগণ সকল প্রকার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মেম্বার তথা কলা বাড়ী ইউনিয়নের জনগন চেয়ারম্যানের উপরে বিক্ষুব্ধ রয়েছে।যেকোনো মুহূর্তে এলাকায় একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।কোটালীপাড়া নির্বাহী অফিসার স্যার কে বলবো,অতি দ্রুত কলাবারি ইউনিয়ন পরিষদে একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে কলাবাড়ি ইউনিয়ন বাসীর সকল প্রকার দুর্দশা লাঘোবে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে ১ নং কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজন কুমার বিশ্বাসের নিকট প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।আমি কোন প্রকার দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত না।যাহারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে,সে আমার একই গ্রামে হওয়ার কারণে ব্যক্তিগত শত্রুতার হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য করেছে।আমি এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সরকার তথা প্রশাসন যদি আমার কাছে জবাব চায় আমি তাহার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি। ৫ ই আগস্ট এর পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের হলে এই সমস্ত লোকজন আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।
আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।আমি প্রায় তিন মাস যাবত ইউনিয়ন পরিষদের যাই না এ কথা সত্য,কিন্তু জনগণ কোন প্রকার সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ কথাটি সত্য নয়।জনগণ আমার সাথে যোগাযোগ করে সকল প্রকার সেবা নিচ্ছে।এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সাগুপ্তা হকের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,১ নং কলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমি একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,এ বিষয়ে আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব।চেয়ারম্যান বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে,তার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
মন্তব্য