সব
৩ এপ্রিল রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বেলিত ব্যানার সরিয়ে ফেলেছে সাংবাদিক নামধারী আওয়ামী বশংবদ দুর্বৃত্তরা।চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা,সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে লাগানো ব্যানারও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে আজ-অব্দি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার ঘোষক,স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের জন্য অতি প্রাসঙ্গিক জিয়াউর রহমানের ছবি লাগাতে বাধা দেয়া হয়।গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নামের ফ্যাসিবাদের ঘাঁটির পতন হলেও,দলদাস সাংবাদিকদের অপতৎপরতা থামেনি।
শুধু কি তাই,বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্টরা গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে বিভিন্ন অপকর্ম ও করেছে এই বামবাদী কবিতা সংগঠন বোধন, উদিচি,প্রমা, চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক সংসদ, খেলাঘর আসর, সাহিত্য পরিষদ, জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ সহ সেক্টর কমান্ডার ফোরাম নামের বেশ কয়েকটি আওয়ামী দোসর সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
যারা এখনো বাম ধারার সাংবাদিকদের ঢাল স্বরূপ ব্যবহার করে জিয়া স্মৃতি ও জিয়া পরিবারের এবং জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের কর্মকাণ্ড কে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নজর না দিয়ে মৌলবাদী হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জন্য নিবন্ধ,ফিচার,লেখা,আর্টিকেল,কার্টুন-ছবি মিথ্যাচার গুজব গল্প কাহিনী ছাপাতে বামধারার দোসরদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নতুন বাংলাদেশে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার মতো এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ নয়,নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করে তাদের কাপড় খোলার সময় এসেছে।এই প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক দল(জাসাস)নেতৃবৃন্দরা এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর জাসাস নেতা এম এ মুছা বাবলু,চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, জাসাস নেতা দোস্ত মোহাম্মদ ভাই,জাহেদ কায়সার,তুহিন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে।
অবিলম্বে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন টাংগিয়ে না দিলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মন্তব্য