সব
১৯ ডিসেম্বর সিএমপির বন্দর জোন উপ-পুলিশ কমিশনার কবির আহম্মেদের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আখতারউজ্জামানের নেতৃত্বে সম্প্রতি একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার সহ চোরচক্রের ৪ জন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ টিম ইপিজেডে।
থানায় জিডি সূত্রে জানা গেছে যে, রাইডার শেয়ার মোটরবাইক চালক মোঃমোমিন উদ্দিন(৪৩)তার মালিকানাধীন বাজাজ প্লাটিনা ১০২ সিসির মোটরসাইকেলটি গত ৭ সন্ধ্যার সময় সিইপিজেডস্থ চৌধুরী মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর রেখে নাশতা করতে গিয়ে।ফিরে এসে দেখেন চাবি কোথাও হারিয়ে গেছে,এসময় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন যুবক ব্ষএসে তাকে চাবি ছাড়া বাইক স্টার্ট দেওয়ায় সাহায্য করবে বলে আস্বস্ত করে এবং একটি টেস্টার আনতে বলে।দোকান থেকে টেস্টার নিয়ে এসে বাদী তার বাইকটি আর খুঁজে পায়নি।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ইপিজেড থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়ের পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইপিজেড থানার এস আই চাংকু নাগ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সনিয়ে গোপন সূত্রে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিউমুরিং এলাকা থেকে গত ১১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় চুরির সঙ্গে জড়িত জাহাঙ্গীর আলম,মোহাম্মদ জামশেদ ও ফয়সাল উদ্দিনকে আটক করেন।
এরপরে ধৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাদী মুমিনের চুরি হওয়া বাজাজ প্লাটিনা ১০২ সিসির মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।এছাড়াও এসময় চোরের কবল থেকে একটি চোরাই সিএনজির ডকুমেন্ট উদ্ধার করে পুলিশ টিম।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত সিএনজিটি তাদের সহযোগী অপর সদস্যের সহায়তায় গত ৯ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে চুরি করেছে বলে জানায়।রাত ১:৩০টায় চোরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিউমুরিং এলাকা থেকে উক্ত চোরাই চক্রের অপর সদস্য জামশেদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
রাত ২:৫৫ টায় জামশেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে উক্ত নম্বরপ্লেটবিহীন চোরাই সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়।ধৃতদের চোরী ও ছিনতাই-ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ আখতারউজ্জামান।
মন্তব্য