সব
৭ জুলাই বাবা,এক ধূসর নায়ক-তিনি যেন সেই ক্লান্তিহীন বাতিওয়ালা যিনি বাতি হাতে আঁধার ঠেলে সন্তানের পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।জীবনের বহুবিধ ধুলোখেলায় তিনি আড়ালে থাকেন,নীরবে সহেন,যাঁর ভালোবাসা অনুচ্চারিত কিন্তু কী ভীষণ প্রবল।বাবা ছায়াদায়ী বৃক্ষের মতো নিঃস্বার্থ,কিন্তু ঋজু এবং অবিরত অবিচল।
অবিকল্প আশ্রয় হয়ে যিনি সকল প্রতিকূলতাকে বুকে পেতে নিয়ে সন্তানের জন্য নির্মাণ করে দেন অনুকূল সম্মুখ পথ।যার অজস্র পরিশ্রম আর ত্যাগে আমাদের জীবনের সকল প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে আমরা সাফল্যের পথে এগিয়ে যাই,সেই বাবাকে সম্মান জানানোর প্রচেষ্টা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও এএমএমএস গ্রুপের আয়োজনে চট্টগ্রাম রেডিসল ব্লু হোটেলের মেজবান হলে সম্প্রতি ‘ভুবনজয়ী বাবা’সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল আইজিপি ও সদ্য বিদায়ী পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, বিপিএম(বার)পিপিএম(বার)প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“এমন কোনো বাবা নেই যিনি চান না তার সন্তান ভালো মানুষ হোক।তবে আপনি ভালো মানুষ না হয়েও চাচ্ছেন আপনার সন্তান ভালো মানুষ হোক।
কিন্তু আপনি কি তার সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করবেন না।আপনাকে দেখেই তো সে বড়ো হবে।আপনি খারাপ হয়ে আপনার খারাপ সন্তানের ভালো হতে চাওয়াটা অলৈখিক কল্পনা মাত্র।
আমি মনে করি আমাদেরকে ভালো হয়েই আমাদের সন্তানকে ভালো হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে।নিজে খারাপ থেকে সন্তানের ভালো হওয়ার স্বপ্ন দেখলে সেটার বাস্তবায়ন খুব একটা ভালো হবে না।অনুষ্ঠানে ‘ভুবনজয়ী বাবা’ হিসেবে ১০ জন গর্বিত বাবাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তাঁরা হলেন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃইউসুফ, মোঃশাহ আলম,কাজী আফতাবুর রহমান,কেশব দাস,লেয়াকত আলী, মোঃআবুল হাসেম,আবুল হাশেম মিয়া,বিন্দু কুমার চাকমা ও জাফর আহমদ।এই সময় সম্মাননা প্রাপ্ত সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর)জয়নুল আবেদীন (অতিরিক্ত ডিআইজি)ও পুলিশ কর্মকর্তা ইফতিখার উদ্দিনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃইউসুপ সাহেব সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।পৃথিবীর সকল আদর্শ বাবার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও অজস্র শ্রদ্ধা,ভালোবাসা-শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সদ্য বিদায়ী পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
মন্তব্য